পুরনো শাড়ি আবার নতুনের মতন ঝকঝকে ও উজ্জ্বল কে না দেখতে চায়!! তাই সবাই পুরনো শাড়িকে রোলিং ও পলিশিং করায়, শহরাঞ্চল এলাকায় এর বেশ প্রচলন আছে। আমরা ছেলেরা জামা- প্যান্ট পরিষ্কার করার পর যেমন তার উপর প্রেস বা আয়রন করি, শাড়ির ক্ষেত্রে এই রোলিং ও পলিশিং ব্যাপারটা অনেকটা তাই। এতে শাড়ি অনেক দীর্ঘস্থায়ীত্ব হয় ও আগের মতোই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকে। শাড়ির ফ্যাব্রিকের কোনো ক্ষতি না করে এর সহজাত উজ্জ্বলতা পুনরুদ্ধার করা হয় এই পলিশিং করে।
গ্রামের দিকে অনেকেই লক্ষ্য করে থাকবেন, এই কাজ আগে শাড়ির উপর মাড় (ভাতের ফ্যান) দিয়ে করা হত। আজকের এই আধুনিক যুগে এই রোলিং ও পলিশিং মেশিনের সাহায্যে খুব সুন্দর ও সহজভাবে সম্ভব। আপনি মেশিন কিনে আপনার এলাকায় এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন, এটি খুবই একটি লাভজনক ব্যবসা আর এর চাহিদা সারাবছরই থাকে। আপনার এলাকাটি শহরাঞ্চল এলাকায় হলে ভালো হয়, অনেক বেশি কাজের অর্ডার পাওয়া যাবে। এই মেশিনের সাহায্যে যে কোনো ধরনের শাড়ি পলিশিং করা সম্ভব যেমন সুতির, রেশমের, ডিজাইনার, হাতের সূচিকর্ম করা ইত্যাদি। শুধু শাড়ি নয় – বিছানার চাদর, শাল, হালকা কার্পেট, ঘরের পর্দা ইত্যাদি জিনিসের উপরও এই মেশিন কাজ করবে।
পদ্ধতি:
এই কাজটি করা খুবই সহজ, এর জন্য বিশেষ কোনো প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। মেশিনের নির্দিষ্ট স্থানে শাড়িটি লম্বা ও সোজা করে ধরলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে শাড়িটি রোলিং ও পলিশিং হয়ে মেশিনের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসবে। এতে শাড়ির সমস্ত স্ট্রেচ বেরিয়ে যায় এবং শাড়িটি একদম নতুনের মতো মসৃণ হয়ে ওঠে। এই মেশিনটি পরিচালনা করার জন্য ২ হর্সপাওয়ার যুক্ত মোটর ও ২২০-৪৪০ ভোল্ট পাওয়ার সাপ্লাইয়ের প্রয়োজন হবে।
মেশিনের দাম:
মোটরসহ এই মেশিনের দাম পড়বে প্রায় ১লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।
অবশ্যই পড়ুন : নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে –
আপনার ব্যবসার জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন, লাইসেন্স ও মেশিন কেনার ঠিকানা